আজ কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ১৮ গোল করে আবাহনী লিমিটেডের দোরিয়েলতন গোমেজের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন থ্যাংকগড।
নিজেদের শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে ছড়িয়ে গেলেন দোরিয়েলতনকে। পুলিশের বিপক্ষে তাঁর দল চট্টগ্রাম আবাহনীও পেয়েছে ৩-২ গোলের জয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর অন্য গোলটি অগাস্টিন অগবানের।
পুলিশের হয়ে একটি করে গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ান কুয়াকু ও আমিরুদ্দিন শরিফি। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রামের ক্লাবটি আর সাত নম্বরে আছে পুলিশ।
ম্যাচ শেষে আলোচনায় ছিল লিগে দুটি হ্যাটট্রিক করা থ্যাংকগডের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। খাতা–কলমের বিচারে তাঁকে এখনো সর্বোচ্চ গোলদাতা বলতে না পারার কারণ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবসহ চারটি দলের একটি করে ম্যাচ বাকি থাকা। ১৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার চতুর্থ স্থানে আছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।
লিগের শুরু থেকেই মারুফুল হকের দলকে টেনে নিয়েছেন থ্যাংকগড। হ্যাটট্রিকও করেছেন দুটি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ৩-৩ ড্রয়ে দলের তিন গোলই তাঁর।
১৭ মার্চ দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এবার উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয়ে থ্যাংকগডের ৩ গোল। তবে গোলের চেয়ে বেশি থ্যাংকগড আলোচনায় এসেছেন মূলত তাঁর নামের কারণেই। থ্যাংকগড, মানে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ!
পরপর কয়েকটি বোন হওয়ার পর তাঁর জন্ম। অবশেষে ছেলেসন্তান হওয়ায় মা-বাবা নাম রাখেন থ্যাংকগড। প্রতিটি গোলের পর আঙুল উঁচিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে সবার আগে থাকায় এবার সৃষ্টিকর্তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে পারেন থ্যাংকগড। থ্যাংকগডকে পেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে পারে চট্টগ্রাম আবাহনীও। ২২ ম্যাচে মোট ৩৯ গোল করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি গোল এসেছে থ্যাংকগডের পা থেকে।