বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন আজ বলেছেন, ব্রিটেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন দেখতে চায়। এই বিষয়টি যাতে আলোচনা থেকে বাদ পড়ে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য লন্ডন আন্তর্জাতিক ফোরামে সম্পৃক্ত রয়েছে।
রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত `মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, `বিশ্বব্যাপী অন্যান্য অনেক শরণার্থীর মতোই, রোহিঙ্গা জনসংখ্যার বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বলে যে, তারা দেশে ফিরতে চায়।’
হাইকমিশনার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, আশ্রয় ও পানি, স্যানিটেশন এবং এমনকি প্রয়োজনের সময় তাদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করার মাধ্যমে `অসাধারণ’ উদারতার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি ট্র্যাজেডি যাতে সংশ্লিষ্ট কেউই শরণার্থী শিবিরে বাস করা বা বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বেছে নেয়নি।
ডিকসন বলেন, সঙ্কটের শুরু থেকেই যুক্তরাজ্য জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছে। লন্ডন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর ফোরামের নতুন সংলাপের অংশীদার হিসেবে আসিয়ানের বিশেষ দূতের প্রয়াসে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের আন্তর্জাতিক সাড়াদানের ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী দাতা হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক দেশ উভয়কে সমর্থন করার জন্য ৩২০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অবদান রেখেছে। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।