রাস্তায় ফেলে যাওয়া মায়ের দায়িত্ব নিলো প্রশাসন

সন্তানের কাছে ‘বোঝা’ হয়ে উঠেছিলেন ৮০ বছরের মর্জিনা বেগম। তাই অশীতিপর এই বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফেলে যান ছেলে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাকিম। তার হস্তক্ষেপে ওই বৃদ্ধার স্থান হয় মেয়ের বাড়িতে। পরে মর্জিনার চিকিৎসা ও জীবন যাপনের দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন।

মর্জিনা বেগমের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর নাককাটিতলা গ্রামে। তার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।

গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের পাশের একটি ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্জিনা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।

এরপর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বৃদ্ধাকে দেখতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান। এসময় তিনি মর্জিনা বেগমের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচ বহনের ঘোষণা দেন।

মর্জিনাকে দেখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একজন মানুষও অসহায় ও গৃহহীন থাকবে না। মর্জিনার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা তার জন্য কিছু সহযোগিতা নিয়ে এসেছি। ছেলেকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাইমা খান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুল হাকিম, এনডিসি মো. তৌফিক আজিজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বয়সের ভারে নুয়ে পড়েন ৮০ বছরের বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম টুনি বেওয়া নামেও পরিচিত। তিনি হাঁটাচলা ও কিছুই করতে পারতেন না। তাই তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায় ছেলে। বর্তমানে ছোট মেয়ের ভাড়া বাসাতে থাকছেন মর্জিনা। মেয়ের পরিবারটিও সচ্ছল নয়। ডিসি দেখতে এসে তাকে বিভিন্ন ফল, চাল ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

এদিকে মর্জিনার স্বজনরা জানান, ঘটনার আগ পর্যন্ত ছোট ছেলে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে তিনি ছিলেন।

এ বিষয়ের কথা বলতে ছোট ছেলে মনিরুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

image_pdfimage_print