রাশিয়া ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক এখন পুরোদমে সামরিক অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়া ইরানকে অভূতপূর্ব সামরিক সহায়তা প্রদান করছে।
এই দুই দেশ যৌথভাবে প্রাণঘাতী ড্রোন তৈরির চিন্তাভাবনা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য আছে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ করার পর রাশিয়া-ইরান সম্পর্ক সামনে চলে এসেছে। প্রথমদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার কথা স্বীকার করে ইরান।
ড্রোন তৈরিতে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে চুক্তি হলে তা ইউক্রেন, ইরানের প্রতিবেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন জন কিরবি।
তিনি বলেন, অস্ত্র তৈরি ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে ইরানের সাথে কাজ করতে আগ্রহী রাশিয়া। রাশিয়া ইরানকে হেলিকপ্টার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো উন্নত সামরিক উপাদান দিয়ে সাহায্য করতে চায় বলেও আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘ইরান রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক সহায়ক হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা করতে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া, যার ফলে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎ, তাপ ও জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইরানের কর্মকাণ্ডের কারণে ইউক্রেনে মানুষ মারা যাচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।
তার এ অভিযোগকে সমর্থন করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, ইরানের শত শত ড্রোনের বিনিময়ে রাশিয়া তাদেরকে সামরিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। রাশিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে অক্টোবরে ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহৃত কামাকাজি ড্রোন রাশিয়াকে ইরান সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রাথমিকভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ইরান যুদ্ধের ‘অনেক মাস আগে’ রাশিয়াকে ‘সীমিত সংখ্যক’ ড্রোন সরবরাহ করেছিলো বলে স্বীকার করে।