রাশিয়ার দাবি মানলে আলোচনায় বসতে রাজি পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে সেজন্য পশ্চিমা বিশ্বকে আগে মস্কোর দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনার জন্য রাজি হলেও ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি রাশিয়া মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁর সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন তিনি।

বাইডেনের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আমাদের স্বার্থ রক্ষায় সবসময়ই আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন’।

গত ৯ মাস ধরে আলোচনায় অনীহা দেখানোর পর হঠাৎই কূটনৈতিকভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা অঞ্চলকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি না দিলে শান্তি আলোচনা কঠিন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন পুতিন।

পেসকোভ বলেন, ইউক্রেনে দখল করা অঞ্চলকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকৃতি যুদ্ধ বন্ধ হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর আগে মস্কো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চয়তাসহ ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

শীতের আগমনে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও দুরূহ হয়ে পড়েছে ইউক্রেনে। তীব্র শীতে তাপ, বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে দিন পার করছেন সেখানকার লাখ লাখ মানুষ।

এমন অবস্থায় একদিকে ইউক্রেনের জন্য ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা ও আরেকদিকে রাশিয়ান ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে পুরোদমে চলছে যুদ্ধ। সেখানে রাশিয়ার হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাখমুত শহর। অন্যদিকে দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিজঝিয়ায় রাশিয়া রক্ষণাত্মক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ।

এদিকে, শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সাথে ফোনালাপ করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এই ফোনালাপের আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো এখন পর্যন্ত মধ্যস্থতা করার মতো বাস্তব কিছুই উপস্থাপন করতে পারেনি।