Green Line passenger service on Dhaka-Barisal waterway temporarily suspended due to low passenger numbers

ঘোষণায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৬ জুলাই থেকে গ্রিন লাইনের ঢাকা-বরিশাল ভায়া হিজলা নৌপথে চলাচলকারী জাহাজের সার্ভিস বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা–কালীগঞ্জ–ইলিশা রুটের এমভি গ্রিন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।

যাত্রীদের দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চালু করা হয়েছিল গ্রিন লাইনের নৌপথে যাত্রীসেবা। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় বরিশাল থেকে ঢাকা পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে এই সেবা চালু করেছিল গ্রিন লাইন ওয়াটারওয়েজ।

হঠাৎ গ্রিন লাইনের সার্ভিস স্থগিত করায় নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে নানারকম আলোচনা শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই আলোচনা ছিল নৌপথে যাত্রীর চাপ কমবে। এ নিয়ে লঞ্চমালিকেরাও বেশ উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। তবে সেতু চালুর প্রথম কয়েক দিন পর সেই খরা কেটে যায় পবিত্র ঈদুল আজহার যাত্রী সমাগমে। কিন্তু ঈদে ঘর ও কর্মস্থলমুখী যাত্রীর চাপ কমে যাওয়ার পর আবার নৌপথে যাত্রী অনেকটা কমে যায়। গ্রিন লাইনের সার্ভিস স্থগিতের মাধ্যমে সেই আশঙ্কা অনেকটা সামনে এল।

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে বরিশালসহ দক্ষিণের নৌপথে যাত্রীসংকট দেখা দেয়। সড়কপথে চাপ বাড়ে যাত্রীর। গেল কয়েক দিনে অন্তত ৫০০ নতুন বাস বিভাগের বিভিন্ন সড়কপথে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হয়েছে।

আজ সকালে গ্রিন লাইনের বরিশাল কাউন্টারে যোগযোগ করা হলে কাউন্টারের হিসাবরক্ষক আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রিন লাইনের সার্ভিসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে—এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নৌপথে যাত্রী কমে গেছে। মূলত এই কারণেই আপাতত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়েছে। অবস্থা বুঝে আগামী মাসে পুনরায় সার্ভিসটি চালু হতে পারে।

image_pdfimage_print