own reporter
লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড়বছর বয়সী শিশু ফারহানা আক্তার রাহিমার হত্যাকারী বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু মারা গেছেন।
সোমবার দিবাগত (২৯ জুন) রাতে বুকে ব্যথা উঠলে তাকে জেলা কারাগার থেকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজ মেয়ে হত্যা মামলার আসামি ফয়েজের বুকের ব্যথা উঠলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আসামি ফয়েজ আহাম্মদ মনু (৪৫) সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলম প্রকাশ হোসেন চোরার ছেলে।
সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলতি বছরের ৫ মে ফয়েজ তার মেয়ে রাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন এলাকা ঝোঁপের ভেতর লুকিয়ে রাখে। একইদিন রাতে তিনি নিজেই চন্দ্রগঞ্জ থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ৮ মে মধ্যরাতে মেয়ের লাশটি ঝোঁপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে নিজবাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। ৯ মে সকালে নিজেই থানা পুলিশকে অবহিত করেন, তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে টয়লেটের টাংকিতে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে।
১১ মে সকালে পুলিশ ফয়েজকে আটক করেন। পরে মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। একইদিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে ফয়েজ জবানবন্দি দেয়। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন রায়হান চৌধুরী।