সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকুর রহিমের। দীর্ঘ বিরতির পর এশিয়া কাপ দিয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে ফিরে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। যার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। তবে সব সমালোচনা থামিয়ে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন ৩৫ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। হুট করেই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অবসরের কথা জানান।
মুশফিকের এমন সিদ্ধান্তের পর সতীর্থ ক্রিকেটারসহ অনেকেই তাকে শুভকামনা জানিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখনও এ বিষয়ে চুপ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে হকির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’র দলগুলোর মালিকের নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বিএইচএফ)। নতুন এই টুর্নামেন্টে দল কিনেছেন সাকিব। মূলত তার মালিকানাধীন অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম মোনার্ক মার্ট হকির এ টুর্নামেন্টে দল কিনেছে।
অনুষ্ঠানে মুশফিকের অবসর নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান সাকিব। বলেন, ‘মুশফিকের বিষয়ে কথা বলব না। হকির কথা বলব।’ যদিও এশিয়া কাপে খেলতে যাওয়ার আগে মুশফিক প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘তিনি (মুশফিক) উইকেটকিপিং করলে আমার লাইফটা (অধিনায়কত্ব করা) অনেক সহজ হয়ে যাবে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। তো যেটা হয় যে, ফিল্ডারদের খুব সহজেই তিনি পরিবর্তন করতে পারেন। আমার কাছে শোনারও দরকার হয় না।’
সেসময় মুশফিকের সমর্থন করলেও এখন কথা বলতে চাইছেন না সাকিব। তবে হকি নিয়ে কথা বলেছেন। আশার কথা শুনিয়েছেন। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলেও সাকিবের বেড়ে ওঠা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। সেখানে তিনি ক্রিকেটের শিক্ষা নিলেও অন্য খেলার খেলোয়াড়দের সঙ্গেই বিকেএসপিতে বেড়ে উঠেছেন। সাকিব তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টের মাধ্যমে ক্রিকেটসহ অন্য খেলাকেও এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
সাকিব বলেন, ‘হকির যে সম্ভাবনা আমাদের বাংলাদেশে, আমার কাছে মনে হয় তা যে কোনো স্পোর্টসের চেয়ে বেশি। তাই হকির সঙ্গে থাকতে পেরে আমি খুশি। প্রথমত আমি যখন বিকেএসপিতে ভর্তি হই, আমার রুমমেট ছিল হকির খেলোয়াড়, আমার বড় ভাইরা হকির খেলোয়াড়। আমরা হকির খেলা দেখতে চলে যেতাম হকির মাঠে। তাই হকির প্রতি আগ্রহ অনেক আগে থেকেই ছিল। শুধু হকি নয়, যে কোনো স্পোর্টসের সঙ্গে থাকতে পারলে ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা স্পোর্টস এমন একটা জায়গা, যেখানে থাকতে পারলে আমরা যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পারি।’