বাড়ির পূর্ব দিক থেকে ভেসে আসছিল গুলির শব্দ, যে শব্দগুলো কেড়ে নিচ্ছে নিষ্পাপ প্রাণ। কিন্তু অবুঝ শিশুদের কাছে সেই সময় শব্দগুলো ছিল অচেনা এবং ভয় না পাওয়ার মতো। আমার বয়স তখন ৬ থেকে ৭ বছর। সুন্দর একটি স্বর্নালী সকাল সূর্যের আলোক রশ্মি চিক্ চিক্ করে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরকে আলোকিত করছে। দক্ষিণা মিষ্টি বায়ু প্রবাহিত হয়ে শরীরকে করছে সুশীতল। কিন্তু কে জানে এই সুন্দর পরিবেশটি ম্লান হতে আর বেশি সময় নেই?
চন্দ্রগঞ্জ হাট-বাজারের পরের দিন সকালে পাক-হানাদার বাহিনী প্রবেশ করে চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় আর তাতেই শুরু হয় একনাগাড়ে গুলির শব্দ। কেউ কি জানতেন এই গুলির শব্দে নববধূ বিধবা হবে, সন্তান পিতাকে, স্ত্রী স্বামীকে, বোন প্রিয় ভাইকে হারানোর বেধনা বিধুর ইতিহাস? কৃষকেরা হাল চাষ করতে মাঠে গেলেন। আমার বড় ভাই (মরহুম) দ্বীন ইসলাম পাটোয়ারী হালের গরু লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কোয়াটারের উত্তর পাশের জমিতে চাষ করতে গেলেন। তিনি তখন চৌমুহনী এস.এ কলেজের ছাত্র। ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
যুদ্ধের বিষয়ে তাঁর বেশ ভালো ধারণা ছিলো। তাই গুলির শব্দ শুনে হাল চাষ বন্ধ করে গরু নিয়ে আত্নরক্ষার জন্য দক্ষিণ দিকে যেতে বৃথা চেষ্টা করলেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে বাড়ি যেহেতু উত্তর দিকে কিন্তু গরু বিপরিত দিক (দক্ষিণ) না যাওয়ায় বাধ্য হয়ে খাল, রাস্তা পার হয়ে তিনি বাড়ি এসে পৌঁছালেন। সময় যত গড়াতে লাগলো গুলির শব্দও ততক্ষণে বিকট হতে লাগলো। আমরা সম-বয়সী কয়েকজন গুলির শব্দের উৎস খুঁজতে পূর্বদিকে কিছুপথ যাওয়ার পর আমার বড় ভাই, চাচাতো ভাই চিকন বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটনির ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখি সকলের মাঝে কি যেন এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করেছে। সকলে মিলে ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র গোছাচ্ছেন এবং এলাকার নারী, শিশু, পুরুষ এবং বৃদ্ধাও চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে নিজ বশত ঘর ছেড়ে যাত্র শুরু করলো অজানা গন্তব্যে। দেওপাড়া কড়িম উদ্দিন মোল্লার পুরান বাড়ি ও দাই বাড়িতে অসংখ্য কলা বাদুরের আবাসস্থল ছিল। তারাও গুলির শব্দ শুনে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়াল দিয়ে পালাচ্ছে। কিছু সময় যেতে না যেতেই আমাদের মাথার উপর দিয়ে শোঁ-শোঁ শব্দ করে গুলি আসতে শুরু করলো। আমাদের সকলের মাঝে আতঙ্ক আরো বেড়ে গেল। আতঙ্কিত জনস্রোতের সাথে মিশে আমরা পাঁচপাড়া খালেকগঞ্জ বাজার (হাড়িরদ) পৌঁছলাম।
চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আগুনের লেলিহান শিখায় কালো ধোঁয়ায় পুরো আকাশ আচ্ছাদিত হয়ে গেলো। আমার পরিবারের সকল সদস্য (পাঁচপাড়া ধনকাজী পাটোয়ারী) ফুফুর বাড়িতে আম্রয় গ্রহণ করি। তারপরে বিপদ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। ধনকাজী পাটোয়ারী বাড়ি থেকেও মানুষজন জীবন বাঁচানোর দাগিতে এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছেন। আগে বুঝতে না পারলেও মানুষের দৌড়-ঝাঁপ দেখে আমার মধ্যেও ভয় অনুভব হলো। ভয়ে আমি পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দলচ্যুত হয়ে জনস্রোতে মিশে যাই। সেই সময় পথঘাট না চিনলেও আজ ঠিকই স্মৃতিরপটে ভেসে উঠে সেই অচেনা পথঘাট।
হাটতে-হাটেেত বিনোদপুর যাওয়ার পর, মা, বাব, ভাই, বোন নিকট আত্নীয় স্বজন না দেখে একটা বাড়ির পাশ্বে রাস্তার উপর বসে কাঁদতে লাগলাম। কিছু পথ যাওয়ার পর আমার কাঁন্না দেখে একজন বয়স্ক লোক হাত ধরে তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন। এসময় মাকে খুঁজে না পেয়ে হাউ-মাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম। তখন দুপুর গড়িয়ে আনেটা বিকেল। আমার কাঁন্না দেখে ওই বাড়ির লোকজনের চোখেও অশ্রু টলমল করা শুরু করলো।
তাঁরা আমাকে বারবার খায়ানোর চেষ্ট করেন কিন্তু মা-বাবা, ভাই-বোন কাউকে না দেখায় আমার কাঁন্না থামানো সম্ভব হয়নি। তাই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজেরাই কাঁদলেন। আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কাঁন্না থামিয়ে ভাত খাইয়ে আমার পরিচয় জেনে নিলেন। আমার হারিয়ে যাওয়া সংবাদ পেয়ে দেলিয়াই গ্রামের ওবায়েদুল হক উকিল (দীঘির পাড়) বাড়ির একজন ছুটে আসলেন এবং আমাকে চিনতে পেরে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সুভাগ্য ক্রমে সেই বাড়িটি আমার চাচার শ্বশুর বাড়ি হওয়ায় বাড়ির লোকজন আমাকে চিনতে পারেন।
এরপরে তাঁরা আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে গেলেন। দূর থেকে দেখি আমাকে হারিয়ে মা-বাবাসহ সকলে বিলাপ করে কাঁদছেন। আমি মাকে দেখেই দৌড়ে যাওয়ার সময় আমার দিকে মায়ের চোখ পড়ে; মা আমাকে দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বুকে জড়িয়ে নেয়। অশ্রুসিক্ত নয়নে মা আমার কপালে চুমু খেলেন। সেই সময় মনে হলো তিনি আমাকে পেয়ে আকাশের চাঁদ হাতে ফেলেন। সেই দিনের বেদনাহত স্মৃতি এই ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
পরদিন সকালে বাবা, বড় ভাই এবং আমি আমাদের নতুন লক্ষ্মী ভূঁইয়া বাড়ি আসি। ইতোমধ্য আনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেন। এরপরে আমাদের (পুরাতন) বাড়িতে গিয়ে দেখি সবকিছু অক্ষত অবস্থায় আছে। আমাদের বাড়ির পূর্ব পাশের কালা মিয়া ব্যাপারী বাড়িটি পাক-হানাদার বাহিনী আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। একই সময় চন্দ্রগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন স্থান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখানে সেখানে ছড়িয়ে চিটিয়ে পড়ে ছিল মানুষের মৃতদেহ।
আমি আর বাবা বেশীর ভাগ সময় পুরোনো বাড়িতে থাকতাম আর মা এবং বোনেরা নতুন বাড়িতে থাকতেন। ভাই ছাত্রলীগ করার সুবাদে তাঁর সমবয়সীদের সাথে দূরে কোথাও থাকতেন। বাবার সাথে আমি মাঝে মধ্যে বাজারে যেতাম হাতে বেতের ব্যাগ (ডুলা) নিয়ে। তখন দেখতাম বাজারের উপর দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর গাড়ী আসা যাওয়া করতে। পাক বাহিনীর গাড়ীর আওয়াজ শুনে মানুষ যার যার মত করে পালাতেন। ইতোমধ্যে পাক হায়নাদারা প্রতাপগঞ্জ স্কুলে ক্যাম্প করলেন, তাদের সাথে এদেশী দোসর রাজাকার, আল্ বদর, আল শামস থাকতেন।
তারা এলাকার বাড়ি বাড়ি এবং রাস্তায় গাড়ি তল্লাসি করে যুবক শ্রেণী ও কম বয়সি লোক জন ধরে নিয়ে ক্যাম্পে দিনভর নির্যাতন করে গভীর রাতে বর্তমান কফিল উদ্দিন বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাশে তাদেরকে হত্যা করতেন। সকালে সমবয়সীর সাথে আমি রাস্তায় বের হলেই দেখতাম খালে ভেসে থাকা শত-শত নারী, পুরুষ, শিশুসহ বৃদ্ধার গলিত অর্ধ গলিত লাশ। সেই সময় আমি দেখেছি রাতে শিয়াল, দিনে কুকুর এবং শকুনগুলো গলিত অর্ধ গলিত লাশ টেনেহিচড়ে খাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা।
সেই দিনের স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়লে খুব কষ্ট পাই আর চিন্তা করে দেখি, মহান আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে মৃত্যুর পর মানুষের লাশ দাপন করা হয় মাটিতে এবং শেষ বিচারের দিন রোজহাশরে মানুষকে মাটি থেকে উঠানো হবে। কিন্তু পাকহানাদার ও তাদের দোশররা সকলেই মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষের রক্তাক্ত লাশ ধর্মীয় নিয়মে দাফন করার সুযোগ দেননি !
১৯৭১ সালের ১৬ জুন সকাল বেলা মা ভাত রান্না করতে দেরী হওয়ায় আমাকে চাল এবং চিমের বিচি ভেজে দিলেন। এরই মধ্যে বৃষ্টির মতো গুলির শব্দ কানে আসতে থাকে, মা আমার লুঙ্গির মধ্যে চাল আর চিমের বিচি ভাজা ঢেলে দিলেন, তা নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করলাম নতুন বাড়ি থেকে উত্তর দিকে। লুঙ্গি চিদ্র থাকায় চাল আর চিমের বিচি ভাজা দৌড়ের সাথে রাস্তায় পড়ে যায়। গুলির শব্দ থেমে গেলে পরে বাড়িতে ফেরার পথে কাদামাটিতে পড়ে থাকা চাল আর চিমের বিচি ভাজা দেখে ক্ষুদায় মন চাইলো তা খেয়ে নিতে কিন্তু বর্ষাকাল থাকায় মানুষের পায়ের চাপে সবগুলো কাদা মাটিতে মিশে যায়। পরে জানতে পারি সেই দিন পশ্চিম লতিফপুর নুর মিয়া মুন্সী বাড়ি, মসজিদ ওয়ালা বাড়ি এবং পাটোয়ারী বাড়িতে আগুন দিয়েছে পাক বাহিনী। নুর মিয়া মুন্সীসহ ১১জনকে হত্যা করা হয়, অনেক মা-বোনকে সম্মানহানি করেছে হায়নারা।
সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শেখ সাহেব বলে ডাকতেন। মুক্তিযুদ্ধে মাঝামাঝি সময়ে চারিদিকে একটা কথা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লো, শেখ সাহেব গদিতে বসতে পারবে কি? তখন সকলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস থাকার কারণে বলতেন নিশ্চই পারবে? তখন পুরো গ্রামে পাঁচ সাতটার বেশী রেডিও ছিলোনা। যার বাড়ীতে রেডিও ছিলো, গ্রামের সবাই রাতে গোপনে তার বাড়িতে গিয়ে বিবিসির খবর শুনাতেন। এর মধ্যে বেশীর ভাগ লোকের মুখে বেলুনিয়া, বগাদিয়া, পানপাড়ার যুদ্ধসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যুদ্ধের কথা পরস্পর আলোচনা করতেন।
একদিন গভীর রাতে (বর্তমান আমেরিকা প্রবাসী) এস.ইউ.এ সেলিম ভাইদের বাড়ি থেকে কাঁন্নার শব্দ আসতে থাকে কিন্তু ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হলেন না। পরদিন সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে সেলিম ভাই এর চাচা ফজলুল করিমকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যায়। দিনভর প্রতাপগঞ্জ স্কুলে তাঁকে অনেক নির্যাতন করার পর, পরদিন তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে হত্যা করে। তাঁর লাশটা আর খুঁজে পাওয়া গেলোনা। এর কয়েকদিন পরে সকাল আনুমানিক ৯টা কিংবা ১০টার মধ্যে বর্তমান কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পশ্চিমের হিন্দু সংখ্যালঘু হোরার বাড়ি, শিমন্দার বাড়ির নারি পুরুষ সকলকে পাকহানাদার ও তাদের দোশররা ধরে এনে আমাদের বাড়ির সামনে সারিবদ্ধ ভাবে দাড় করিয়ে কালেমা পড়াচ্ছেন।
তা আমরা বাড়িতে বসে ঘরের আড়াল থেকে স্পষ্ট ভাবে শুনতে পাচ্ছি। এর কিছুক্ষণ পর কামার হাটের দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করা শুরু করলে পাকহানাদার ও তাদের এদেশীয় সহযোগিরা হামাগুড়ি দিয়ে গড়াইতে গড়াইতে পূর্ব দিকে চলে আসে। আর হিন্দু সংখ্যালঘুরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে করতে আমাদের উঠোনের উপর দিয়ে উত্তর দিকে পালইতে থাকে।
তখন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে উজ্জীবিত করতে কিছু ছন্দ, গান, ও কবিতা ছিল মানুষের মুখে-মুখে।
যেমন-
জনতা : “তোরা শুনরে শুন বঙ্গবন্ধুর গুণ, রাশিয়া প্যাচের হোক্কা ভারতের আগুন-তোরা শুনরে শুন।
বঙ্গবন্ধু : বারেবারে বলছি আমি ওরে ইয়াহিয়া খান, আমার বাংলায় হাত ধরিলে না রাখিবো নিশান।
ইয়াহিয়া : আগে যদি জানতাম বন্ধু তোমার এতো গুন, তোমারে করিতাম সেবা গুরুরও মতন। ও কাজল বরণ বঙ্গবন্ধুরে…।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীন হয়েছে মর্মে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, এদিকে গ্রামের মানুষ লঠি, সোটা, যে যার মত করে হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের দিকে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে দৌড়াচ্ছেন। আমার বাবা ও বড় ভাই এর সাথে আমি এবং আমার সমবয়সীরাও তাঁদের সাথে বাজারের দিকে ছুটে যাই। আফজল রোডে সামনে পর্যন্ত যাওয়ার পর দেখতে পাই দীর্ঘ দিন অবরুদ্ধ থাকা মানুষের জনস্রোত।
প্রতাপগঞ্জ স্কুলের মাঠে কয়েক জন পাক হানাদার ও রাজাকারের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। কয়েক জন রাজাকারকে পিছনে হাত বাঁধাবস্থায় দেখা যায়। আর মাঝে মাঝে উত্তেজিত জনতা কিল ঘুষি মারছেন। মানুষের জটলার মধ্যে আমার বাবা উঁকি মারি দেখতে গেলে বীরমুক্তিযোদ্বা আব্দুল মান্নান (আমেরিকা প্রবাসী) আমার বাবাকে দাদা বলে সম্বোধন করে নিষেধ করলেন সরে যাওয়ার জন্য। তখন মুক্তিযোদ্ধা ও মানুষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত মানুষের উচ্ছাস রোমন্থন করা বড়ই কঠিন।
লেখক, মো. নুরুল ইসলাম বাবুল
শ্রমবিষয়ক সম্পাদক : লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ
চেয়ারম্যান : ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
সদস্য : প্রদীপ্ত লেখক ফোরাম