যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলোয় বন্দুক হামলার ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন পেটন গেন্ড্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) ১৮ বছর বয়সি ওই শ্বেতাঙ্গ যুবকের বিরুদ্ধে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ’র অভিযোগ গঠনের বিষয়টি জানান বিচারকরা। খবর এনপিআর।
গত ১৪ মে বাফেলোর একটি শপিংমলে বন্দুক হামলা চালিয়ে ১০ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেন গেন্ড্রন। ওই ঘটনায় আরও অন্তত ৩ জন গুরুতর আহন হন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জেনড্রনকে গ্রেফতার করা হয়।
শুরুতে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পরে জানা যায়, তিনি নিউইয়র্কের শ্বেতাঙ্গ তরুণ। বর্ণবাদে উৎসাহী হয়ে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে একে ‘বর্ণবাদী সহিংস হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে বিচারকরা বলেছেন, বর্ণবিদ্বেষ থেকে প্রাণিত হয়ে ওই হামলা চালিয়েছেন জেনড্রন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার) তাকে ফের আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
বন্দুক হামলার পর গত ১৯ মে গেন্ড্রনকে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির কর হয়। ওইদিন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তবে নিজেকে তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
গেন্ড্রন পেনসিলভানিয়া রাজ্যের সীমান্তের কাছাকাছি নিউইয়র্কের সাউদার্ন টায়ারের অধিবাসী। পুলিশের তথ্য মতে, শ্বেতাঙ্গ ওই তরুণ অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে একাই ওই মার্কেটে হাজির হন। বাড়ি থেকে কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ–অধ্যুষিত এলাকা বাফেলোয় আসেন।
সুপারমার্কেটটির পার্কিং এলাকায় প্রবেশের আগেই সিনেমার স্টাইলে গুলি চালাতে শুরু করেন। তিনি পুরো ঘটনা আমাজনের টুইচ প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচারও করেন।
কর্মকর্তারা বলেন, ওই গুলির ঘটনায় ১৩ জন হতাহতের মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। অন্য দুজন শ্বেতাঙ্গ। এরি কাউন্টি জেলার অ্যাটর্নি জন ফ্লিন বলেন, গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর গেন্ড্রনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে তোলা হয়।
এ অপরাধে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। নিউইয়র্কের আদালতের বিচারে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই।