Low pressure in Bay of Bengal, possibility of increased rain

আষাঢ়ের প্রাক্কালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার রয়েছে দেশজুড়ে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এসবের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দেশের প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এ ছাড়া সাগরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার ছিল জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৮ তারিখ। এদিন নেত্রকোনায় দেশের সর্বোচ্চ ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণও অব্যাহত রয়েছে।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বর্ষা সমাগত। এরই মধ্যে পুরো দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) সেট হয়ে গেছে। এ জন্যে বর্ষণও রয়েছে সবখানে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। দুয়েকদিনের মধ্যে লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থলভাগে পৌঁছলে তা নিম্নচাপে রূপ নেবে। এ সময় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হবে অনেক এলাকায়। বৃষ্টি ঝরিয়ে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, দেশে এরই মধ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এর সঙ্গে শুক্রবার সকালের পর যোগ হয়েছে লঘুচাপ। সব মিলিয়ে আগামী তিন থেকে চার দিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়াসহ উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। হয়ত একটানা বৃষ্টি হবে না। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বায়ু সারা দেশে বিস্তার লাভ করছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূল এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য স্থানে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

image_pdfimage_print