দেশের প্রথম মেট্রোরেলে নারীদের জন্য থাকছে নানা ব্যবস্থাপনা। প্রথম চালকও ছিলেন একজন নারী। অগ্রগামী কোচের যাত্রাও হয়েছে আরেক নারীর হাতে। নারী যাত্রীদের জন্য প্রতি বগিতে থাকবে সংরক্ষিত আসন। এর বাইরেও প্রতিটি কোচে নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা বগি। রাখা হয়েছে ওলাদা ওয়াশরুম; শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মেট্রোট্রেনে একটা স্বতন্ত্র মহিলা কোচ থাকবে, সেখানে মহিলারা যেতে পারবেন। মহিলা যাত্রীদের জন্য পৃথক ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে এবং সেই সাথে শিশুদের পরিচর্যার ব্যবস্থা থাকবে। আর, মুক্তিযোদ্ধারা সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মেট্রোরেলের সব থেকে বড় যে ব্যাপারটি তা হলো-আমাদের দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যেসব ব্যক্তি অর্থাৎ, পঙ্গু অসহায়, প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক বা যারা চলতে পারে না- তারা যেনো সহজে মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়স্ক যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, হলি আর্টিজানে যে জাপানি নাগরিকরা নিহত হয়েছিলেন তাদের স্মরণে মেট্রো স্টেশনে নামফলক থাকবে। যানজট নিরসন করা হবে বলে নির্বাচনী ইশতেহার দেয়া হয়েছিলো তা এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হলো।
এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় ভোটার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে। এর সংরক্ষণ, মান ঠিক রাখা ও পরিচ্ছন্ন রাখতে যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।