Cruel behavior followed by killings

own reporter

লক্ষ্মীপুরের সড়ক-মহাসড়কের পাশের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বিজ্ঞাপন। এতে সড়কের গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মরে গেছে অনেক গাছ। গাছের যে প্রাণ আছে, শত বছর আগে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু তা প্রমাণ করে গেলেও বিজ্ঞাপনদাতারা তা ভুলে গেছেন।

আইন করে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও দেদারছে চলছে পেরেক ঠোকানো। ব্যাানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলানো হচ্ছে গাছে। অথচ কাজটাকে নিষিদ্ধ করে ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ নামে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছিল আইন। একেকটা গাছ অক্সিজেনের কারখানা। পরিবেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু গাছ। আজ সেই গাছ হত্যার অলিখিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন দেখা যায়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর, চন্দ্রগঞ্জ, রামগতির বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ড, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত ব্যানার-ফেস্টুন। এসব ফেস্টুন পেরেক দিয়ে গাছে আটকানো হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের ফেস্টুন, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের ফেস্টুন। একইভাবে টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনও। সড়কের পাশের প্রতিটি গাছে পেরেক মেরে ১৫-২০টি বোর্ড টাঙানো হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে সড়কের শতাধিক গাছ মরে গেছে। পেরেক মারা বন্ধ না হলে আরও অনেক গাছ মরবে।

এভাবে গাছে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয় তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় পচন ধরে। ফলে গাছের খাদ্য ও পানিশোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। একসময় গাছটি মরে যায়। এ বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত।