নিজেকে ‘অনিয়মিত বোলার’ ভাবেন না মোসাদ্দেক

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নুরুলও এ দুজনের নামই নিলেন, ‘বোলিংয়ে সুরটা ঠিক করে দিয়েছে মোসাদ্দেক, ব্যাটিংয়ে ঠিক তেমননি লিটন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।’

এই ম্যাচের আগে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের উইকেট ছিল ৭টি। অনেকটা অনিয়মিত বোলার হিসেবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহৃত হন তিনি। তবে নিজেকে ‘অনিয়মিত বোলার’ মানতে আপত্তি আছে মোসাদ্দেকের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বললেন, ‘আমি যখন বোলিং করি, তখন কখনোই ভাবি না যে আমি অনিয়মিত বোলার। বোলিংয়ে আমি সব সময় নিয়মিত বোলারের দায়িত্বটাই নেওয়ার চেষ্টা করি।’

যেকোনো সাফল্যের পেছনেই পরিকল্পনা থাকে। আজ বোলিংয়ের আগে নিজেদের পরিকল্পনাটাও জানিয়েছেন মোসাদ্দেক, ‘উইকেটটা যদি দেখেন, বোলারদের জন্য খুব যে সহায়ক ছিল, সেটা বলব না। অবশ্যই উইকেট খুব ভালো ছিল। অধিনায়ক আমাকে বল দিয়ে বলেছিলেন রান আটকানোর কথা।’

সেই রান আটকানোর বোলিং করতে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেরা বোলিং করে ফেলেছেন। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, স্বীকৃত ক্রিকেটেই এই প্রথম ৫ উইকেট মোসাদ্দেকের। যদিও এটাকেও বড় করে দেখাতে চাইলেন না তিনি, ‘আমি কোনো কিছু মাথায় নিয়ে বোলিং করিনি। ভালো জায়গায় বল ফেলেছি, সে জন্য হয়তো সফল হয়েছি।’

মোসাদ্দেক অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন কাজ, তারপরও তা শেষ করতে হতো। নুরুল হাসানের মতো মোসাদ্দেকও সফল রান তাড়ার মূল কৃতিত্বটা অনুমিতভাবেই দিলেন লিটনকে, ‘প্রথম ম্যাচ কিংবা এই ম্যাচে, লিটন কিন্তু প্রতিদিনই আমাদের জন্য সুন্দর একটা শুরু করে দিচ্ছে। আমাদের দলের জন্য এটা খুবই ভালো, একটা ম্যাচে রান তাড়া করতে যা করা দরকার, সেটা লিটন আমাদের জন্য করছে। শেষের দিকে শান্ত (নাজমুল হোসেন) এবং আফিফ (আফিফ হোসেন) নিজেদের ম্যাচুরিটি দেখিয়েছে।’

আগামী পরশু মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সিরিজ–নির্ধারকও। আজকের দারুণ জয় যে সেই ম্যাচের জন্য টনিক, সেটাও ফুটে উঠল মোসাদ্দেকের কথায়, ‘এই ম্যাচে আমরা যা যা করেছি, সেগুলো ঠিকঠাক রাখতে পারলে আমরা শেষ ম্যাচেও জিতব।’