নারী অধিকারের কোনো প্রাধান্য নেই, এবার সরাসরি মুখ খুললো তালেবান

সরাসরি ঘোষণা না দিলেও আফগানিস্তানে নারী অধিকার খর্ব হয় এমন একাধিক নিয়ম একে একে জারি করেছে তালেবান। আর এবার প্রকাশ্যেই এ বিষয়ে খোলাসা করলো দলটি। নারী অধিকারকে প্রাধান্য দেয়াটা প্রয়োজনীয় নয়, এমনটিই এবার খোলাখুলিভাবে বললেন দলটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা খামা’র বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এনডিটিভি।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ। তার মতে, ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো আইনই রাখা হবে না আফগানিস্তানে। একই সাথে নারী অধিকার সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো সামনে আসছে, তাও দলটির প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুযায়ী মোকাবেলা করা হবে।

জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ইসলামিক শরিয়াহ আইন অনুযায়ী সব বিষয়কে পরিচালনার চেষ্টা করছি আমরা। সুতরাং শরিয়াহ সমর্থিত নয় এমন কোনো আইন বা নিয়ম কানুনই তালেবান সরকার অনুমোদন দেবে না।

এদিকে, আফগানিস্তানে নারী স্বাধীনতার সমস্ত দ্বার একে একে বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবার। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই প্রথমে স্কুল-কলেজ ও উচ্চ শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর এনজিও ও শপিংমলে নারীকর্মী নিষেধাজ্ঞা, আফগান পার্লামেন্ট থেকে নারী বিষয়ক বিভাগ বাতিল এবং সবশেষে নারীদের পুুরুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা না নেয়ার বিধি মোতায়েন করেছে তালেবান। সেই সাথে বন্ধ হচ্ছে বিউটি পার্লারও। ইসলামিক নীতির দোহাই দিয়ে কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা থেকে নারীদের বঞ্চিত করার নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে তালেবান।