দেশে দারুচিনি চাষে সফলতা এলেও এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাগান তৈরি হচ্ছে না। বগুড়ার শিবগঞ্জের মশলা গবেষণা কেন্দ্রসহ মাগুরা, সিলেট, গাজীপুর ও কুমিল্লা আঞ্চলিক মশলা গবেষণা কেন্দ্র এবং ফরিদপুর, সিলেট, খাগড়াছড়ি মশলা গবেষণা উপকেন্দ্রগুলোতে চাষ সীমাবদ্ধ আছে।
মশলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, কয়েক বছর আগে আমাদের দেশের উপযোগী দারুচিনি চাষে সফলতা এসেছে। দারুচিনি আমাদের প্রয়োজনীয় মশলা। বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মিটাতে হয়। এতে প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়ে থাকে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশে দারুচিনি চাষ হয়। মশলা গবেষণা কেন্দ্রগুলো স্থাপনের পর বিদেশ থেকে জাত সংগ্রহ করে আমাদের দেশে এনে চাষ উপযোগী জাত উদ্ভাবন করা হয়। তবে পাহাড়ি জঙ্গল দারুচিনি চাষের বেশি উপযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমাদের দেশে শ্রীলঙ্কার জাত চাষ উপযোগী। গাছ থেকে কলম চারা তৈরি করে খেতে চাষ করা যায়। আবার বীজ থেকে চারা তৈরি করে খেতে রোপণ করে চাষ করা যায়। এক একরে ৬ হাজার চারা রোপণ করা যায়। একবার দারুচিনি বাগান তৈরি করলে অনেক দিন থাকে। দুই বছর পর গাছ কেটে বাকল সংগ্রহ করতে হয়। বাকল ছাড়ানোর পর ছায়া জায়গায় শুকাতে হয়। এতে মান ভালো হয়। একবার গাছ কেটে নিলে ফের কুশি ছেড়ে গাছ বড় বড় হয়। গাছ দুই ইঞ্চি পাইপের মতো হলে কাটতে হয়। রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি জেলার বন এলাকায় দারুচিনি চাষের সম্ভাবনা বেশি বলে জানান মশলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।