তালেবানের নতুন নিয়ম: পুরুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবে না আফগান নারীরা, বন্ধ হচ্ছে পার্লারও

ক্ষমতা দখলের শুরুর দিকে নমনীয় ইসলামিক আইন কায়েম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। কিন্তু দিন যতো গড়াচ্ছে, আফগানিস্তানে তালেবানের কট্টোর নিয়ম-কানুন জারির প্রবণতা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নারীস্বাধীনতা খর্ব করতে তালেবানের জারি করা বিভিন্ন নিয়মকানুন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চিকিৎসাক্ষেত্রেও নারীদের পায়ে শেকল পরাতে চলেছে তালেবান, দেশটিতে বন্ধ হচ্ছে পার্লারও। সংবাদ সংস্থা এপিএ এর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইয়ন।

চলতি সপ্তাহেই একটি নির্দেশনা জারি করেছে তালেবান। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে নারীরা চিকিৎসার জন্য পুরুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন না। তালেবান নিয়ন্ত্রিত একাধিক প্রদেশে এরই মধ্যে নারীদের পুরুষ চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিষেধাজ্ঞা এসেছে নারীদের খেলাধুলা ও বিউটি পার্লারের ওপরও। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের সমস্ত বিউটি পার্লার বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কেউ যদি বিউটি পার্লারের জন্য ঘর বা অফিস ভাড়া দেয়, তবে তার জন্যও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। এরই মধ্যে কুন্দুজ, তাখার এবং বাদাখশান প্রদেশের বিউটি পার্লার বন্ধ হয়ে গেছে। পার্লারের জন্য কোনো নারীকে ভাড়া না দেয়ার জন্য জমির মালিকদের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছে তালেবান।

নারীদের বিরুদ্ধে তালেবানের এমন কঠোর নিয়ম জারির তালিকা বাড়ছেই। মন্ত্রণালয় থেকে নারীদের বরখাস্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নারীদের নিষিদ্ধ করা, এনজিওতে নারীকর্মী নিষিদ্ধ, শপিংমলে নারীদের কাজে নিষেধাজ্ঞার মতো বহু নির্দেশনা জারি করেছে তালেবান। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল নিন্দা জানালেও কার্যত কোনো ফলই হচ্ছে না। আফগানিস্তানে নারীদের জীবন-জীবিকা হয়ে উঠছে আরও দুরূহ।