ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল পশুর হাটে বিক্রির জন্য উঠেছে সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের ছাগল। এখন পর্যন্ত এটিই এ হাটে সর্বোচ্চ দামের ছাগল। বিটল জাতের এ ছাগলের ওজন ১৪৫ কেজি। সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম হাঁকা হলেও এখন পর্যন্ত ছাগলটি কিনতে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দাম প্রস্তাব করেছেন একজন ক্রেতা। কিন্তু ছাগলটি এখনো বিক্রি হয়নি।
গত রোববার চালু হওয়া এ ডিজিটাল হাটে ছাগলটি বিক্রির জন্য তুলেছে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আমিশ অ্যাগ্রো নামে একটি খামার। খামারটির অন্যতম উদ্যোক্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিটল জাতের ছাগলটির বয়স ১৮ মাস, উচ্চতা ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি। এ জাতের ছাগলের উৎপত্তিস্থল ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। সেখান থেকেই মা ছাগল আনা হয়েছিল। পরে আমাদের খামারে কৃত্রিম প্রজননের এ জাতের কয়েকটি ছাগল উৎপাদন করা হয়। দুধ ও মাংস উৎপাদনের জন্য জাতটির বেশ সুনাম রয়েছে।
ডিজিটাল হাটে বিক্রির জন্য তোলা ছাগলটি ছাড়াও আমিশ অ্যাগ্রোর কাছে বিটল জাতের আরও দুটি ছাগল রয়েছে। যেগুলোর দাম যথাক্রমে দেড় লাখ ও ৯৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বারবারি জাতেরও একটি ছাগল আছে, যার দাম হাঁকা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা।
দুই বছর আগে শুরু হওয়া আমিশ অ্যাগ্রো এ বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ২৪৯টি গরু ও ৯৬টি ছাগল বিক্রির জন্য পালন করেছিল। এর মধ্যে অনেক গরু-ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট আছে ৩৮টি গরু ও ৭৫টি ছাগল।
দুই বছর আগে শুরু হওয়া আমিশ অ্যাগ্রো এ বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ২৪৯টি গরু ও ৯৬টি ছাগল বিক্রির জন্য পালন করেছিল। এর মধ্যে অনেক গরু-ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট আছে ৩৮টি গরু ও ৭৫টি ছাগল।
মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত একাধিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকি। পাশাপাশি শখের বশে খামার করেছি। করোনার কারণে সেই শখের খামারই হয়ে গেছে মূল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। করোনাকালে খামারটির কার্যক্রম বেড়েছে।’