টেলরের আত্মজীবনীতে শেবাগের ‘চিংড়ি টিপস’

টেলর বড় অঙ্কেই সেবার দিল্লির হয়ে খেলছিলেন। সে কারণে যে তিনি বেশ স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন, সেটি তাঁর আত্মজীবনী ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’–এ উল্লেখ করেছেন তিনি। রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরদিন আইপিএলে একটা ম্যাচ ছিল দিল্লির, সেদিন শেবাগ ছিলেন তাঁর ব্যাটিং সঙ্গী। টেলরকে চাপে ভুগতে দেখে শেবাগ বলেছিলেন, ‘আরে, এত চাপ নিয়ো না। এমনভাবে ব্যাটিং কর যেন তুমি চিংড়ি খাচ্ছ।’

শেবাগের ব্যাটিং নিয়ে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে টেলর লিখেছেন, ‘শেবাগ এমনভাবে খেলতেন, যেন ক্রিকেটটা তাঁর শখ। তিনি মজা করে খেলছেন। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন।’

গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন টেলর। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে বড় একটা অভিযোগেই অভিযুক্ত করেছেন। মায়ের দিক দিয়ে পলিনেশিয়ান আদিবাসী সামোয়ানদের রক্ত বইছে তাঁর শরীরে। সে কারণেই নাকি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে তিনি নানা ধরনের বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের টেস্ট ও ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এই ক্রিকেটার তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটটা সাদাদের খেলা। আমি ছিলাম ভ্যানিলা লাইনআপে বাদামি মুখ।’

আইপিএল নিয়েও অভিযোগ আছে তাঁর আত্মজীবনীতে। ২০১১ সালে রান না পাওয়ায় নাকি এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক তাঁকে চড় মেরেছিলেন।

image_pdfimage_print