ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘লেমনেড’ মুক্তির ৬ বছর পর গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী বিয়ন্সের বহুপ্রতীক্ষিত ৭ম স্টুডিও অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’। অ্যালবাম প্রকাশের পর ইতোমধ্যে বেশ সমালোচনাও হয়েছে বিয়ন্সের গানের একটি শব্দ নিয়ে। অবশেষে সেই গানের বিতর্কিত শব্দটি বাদ দিয়ে গানটি আবারও নতুন করে প্রকাশ করেন বিয়ন্সে। এবার সে অ্যালবামই দখল করে নিয়েছে ইউকে অ্যালবাম চার্টের শীর্ষস্থান!
ছয় বছর পর গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেলো বিয়ন্সের ৭ম অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’। ২০১৬ সালে বিপুল ব্যবসায়িক সাফল্য আর সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়া লেমনেড মুক্তির পর থেকেই বিয়ন্সভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন তার নতুন অ্যালবামের। রেকর্ড গ্র্যামিজয়ী বিয়ন্সের নতুন অ্যালবামটিও যে ব্যবসায়ীক সাফল্যের পথেই হাঁটবে তা পূর্ব অনুমিতই ছিল। তবে অ্যালবাম মুক্তির পর ‘হিটেড’ শিরোনামের গানে একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহারের কারণে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন বিয়ন্সে।
বিয়ন্সের সঙ্গে যৌথভাবে ‘হিটেড’ গানের কথা লিখেছেন কানাডিয়ান র্যাপার ড্রেক। গানটিতে ‘স্প্যাজিন অন দ্যাট অ্যাস, স্প্যাজ অন দ্যাট অ্যাস’ লাইনের ‘স্প্যাজ’ শব্দটি সেরেব্রাল পালসি রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অবমাননাকর—এ অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গায়িকাকে রীতিমতো তুলাধুনা করা হয়। ক্রমেই তা রূপ নেয় প্রতিবাদে। এরপরই গানটির বিতর্কিত শব্দগুলো বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিয়ন্সে। বিয়ন্সের টিম থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘শব্দটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়নি, শব্দটা শীঘ্রই বদলানো হবে।
এত বিতর্কের পরেও এবার এই অ্যালবামটি উঠেছে টপ চার্টের শীর্ষে। মুক্তির দিন কয়েক পরেই ইউকে অফিশিয়াল অ্যালবাম চার্টের শীর্ষে উঠে এসেছে অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’। ‘ডেনজারাসলি ইন লাভ’, ‘ফোর’ ও ‘লেমোনেড’-এর পর এটা বিয়ন্সের তৃতীয় অ্যালবাম, যা ইউকে অ্যালবাম চার্টের শীর্ষে জায়গা করে নিলো। কিছুদিন আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিয়ন্সে বলেন, মহামারির সময় পুরো পৃথিবী যখন থমকে গিয়েছিল, তখন আমি অ্যালবামের জন্য কাজ করেছি। এটা আমার জীবনে অন্যতম সেরা সময়।
শুধু তা–ই নয়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বিক্রিও হয়েছে বিয়ন্সের এই অ্যালবামটি। যুক্তরাজ্য ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সেও অ্যালবামটি রয়েছে টপ চার্টের শীর্ষে।