চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি, মহাখালী-গুলশান সড়ক উন্নয়ন কাজ বন্ধ

রাজধানীর মহাখালী-গুলশান ভিআইপি সড়কের উন্নয়ন কাজ মাঝপথে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জনি এন্টারপ্রাইজের জানিয়েছে, চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় যন্ত্রপাতি রেখে পালিয়ে গেছেন শ্রমিকরা। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

গত ১৫ নভেম্বর হুট করে ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে এখন পড়ে আছে মাটি খোড়ার বড় বড় এস্কেভেটর। তীব্র যানজটে সড়ক শৃঙ্খলায় হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা বললেন, আমরা কষ্ট করে দায়িত্ব পালন করতেছি, আপনারা দেখতেছেন। আমরা সর্বক্ষণ রাস্তায় আছি। রাস্তা যদি অর্ধেকের বেশি কেটে দেয়, তাহলে যানজট হবে স্বাভাবিকই।

জনি এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনে বলা হয়, ৫০-৬০ জনের একটি দল চাঁদার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির এক শ্রমিক বলেন, হুমকি দিছে এ বলে, তোরা কাজ করলে পিটিয়ে মেরে ফেলবো। তখন আমরা বলেছি, আমাদেরকে পিটিয়ে কী লাভ, এমডির সাথে ফোনে কথা বলেন। তখন তারা বলে, ফোনে কথা বলবে না, আমাদের সাথে সরাসরি এসে কথা বলতে হবে। আমাদেরকে বলছে তারা তিতুমীর কলেজ, গুলশান কলেজের পোলাপান।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাতের আধারে ৪০-৫০ জন যুবক এসে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেছে। আর চাঁদা না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ওই এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছে।

সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হাওলাদার বলেন, একজন চাঁদা চাওয়ার ফলে কাজ বন্ধ থাকবে তা হয় না। এর ভুক্তভোগী তো ৬০ হাজার শিক্ষার্থী হবে না। যারা চাঁদা চায়, এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, আমরা এটা চাই।

চাঁদার দাবিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কাজ বন্ধ থাকলেও কিছুই জানে না বলে দাবি পুলিশের। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আহাদ হোসেন বলেন, আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ ইস্যুতে আমি কিছু জানি না।