আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি। দণ্ডিত হওয়ার কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে লিবিয়ার ইলেকশন কমিশন।
তবে নির্বাচনের দৌড়ে অংশ নেওয়া অন্যরা যথারীতি থাকবেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই তাই তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে অংশ নেওয়া বাকি তিনজন হলেন খলিফা হাফতার, আবদুলহামিদ বেইবাহ এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতহি বাশাঘা।
২০১১ সালে গাদ্দাফির মৃত্যুর পর প্রায় এক দশকের সংঘাতময় পরিস্থিতির পর আগামী ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়া একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এইচএনইসি (হাই ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশন) এক বিবৃতিতে বলেছে, কথিত যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারা ওয়ান্টেড সাইফ আল ইসলাম ১৪ নভেম্বর নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরো ২৫ প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির এইচএনইসি কর্তৃক জারি করা অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফির নাম এসেছে। আগামী দিনে তিনি আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।
২০১১ সালে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলেনে অংশগ্রহণকারীদের দমনে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিলেন সাইফ আল ইসলাম। সে ঘটনার জেরে ২০১৫ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে সেই রায়টি এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। ওই সময়ে (২০১১ সালে) মানবাধিকারবিরোধী অপরাধের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়ান্টেড।
গত ১৪ নভেম্বর গাদ্দাফিপুত্র তাঁর লিবিয়ার দক্ষিণের শহর সাবহায় তাঁর প্রার্থিতার কাগজ জমা দেন। আর এ উপলক্ষে বহুদিন পর ৪৯ বছর বয়সী সাইফ আল ইসলাম জনসমক্ষে আসেন।
২০১১ সালে তাঁকে জিনতান শহর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ২০১৭ সালে জুনে মুক্তি পান তিনি।
সূত্র : গালফ টুডে