খেলোয়াড়-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি

ঘটনার সূত্রপাত ৭৫ মিনিটে। অবশ্য এর আগেও কর্নার নিতে আসা অলিম্পিক মার্শেই ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পায়েতের ওপর বেশ কয়েক বার বোতল নিক্ষেপ করে নিস সমর্থকরা। কিন্তু তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেননি পায়েত। কর্নার নেওয়ার বিপরীতে বোতল ছুড়ে মারেন নিস সমর্থকদের দিকে। তাতেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায় ফ্রেঞ্চ লিগের এই ম্যাচে।

আলিয়াঞ্জ রিভেইরা স্টেডিয়ামে ঐ ঘটনার পর খেলা চালুই করা যায়নি। কাসপার ডোলবার্গের গোলে নিস ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পণ্ড হয় ম্যাচ। স্বাগতিকরা অবশ্য খেলার জন্য প্রস্তুত থাকলেও নিরাপত্তার ভয়ে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায় মার্শেই।

বোতল ছোড়ার পর পায়েতকে মারতে তেড়ে আসে নিস সমর্থকরা। তাদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেন মার্শেইর বাকি খেলোয়াড়রাও। নিস খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেও এই মারামারি ঠেকাতে পারেনি। নিরাপত্তাকর্মীরা না এগিয়ে এলে হয়তো হতাহতের দিকেও যেতে পারত। তবে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মার্শেইর দুই খেলোয়াড় মাতেও গুন্দোজি লুয়ান পেরেজ।

মার্শেইর উপর প্রতিপক্ষ সমর্থকদের হামলা নতুন নয়। এর আগের ম্যাচেই মপিলিয়ের বিপক্ষে এমন স্বাদ পায় তারা। এ ব্যাপারে মার্শেই প্রেসিডেন্ট পাবলো লঙ্গোরিয়া বলেন, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমনটা ঘটল। মপিলিয়ের বিপক্ষে ইতিমধ্যেই আমাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, যেখানে ঘটনা ঘটার পর আমরা খেলা চালিয়ে গেছিলাম। কিন্তু আজ(গত পরশু) যা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য।’

অপরদিকে নিস প্রেসিডেন্ট রিভের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও এর পুরো দায় দিয়েছেন মার্শেইর পায়েত ও আলভারো গঞ্জালেজকে।

 

 

ফরাসি লিগে ফুটবলার-দর্শকের হাতাহাতি, মাঝপথেই ম্যাচ বন্ধ