বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ড. কামাল হোসেন-তারেক রহমানদের সকল ষড়যন্ত্র চুরমার করে আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতিকে তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছে দেবে ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের জরুরি বৈঠক শেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যায়, তখন জনভিত্তিহীন কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র শুরু করে। ড. কামাল হোসেন সাহেবের মত মানুষ, বার্গম্যানদের মত মানুষ, তারেক রহমানদের মত মানুষ জনসমর্থন হারিয়ে এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। যখন বড় বড় কথা বলেন, তখন তারা ভুলে যান; এই কামাল হোসেন সাহেবও কালো টাকা সাদা করেছেন।
৭৫ পরবর্তী কামাল হোসেনের ভূমিকার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, দেশে না থাকায় তার কন্যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। তখন তার রক্তের উপর দাঁড়ানো খুনি মোস্তাক-জিয়ার সরকারের এই ড. কামাল হোসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি একটি নিন্দাও জানাননি, এমনকি ওই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখানোর মতো সৎ সাহস দেখাননি।এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য সতর্ক বার্তা উচ্চারন করে বলেন, যারা খোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, ষড়যন্ত্র করতে চান বিরাজনীতিকরণ করতে চান, তাদেরকে আমরা বলতে চাই-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সতর্ক আছে। আমরা বলতে চাই, দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিতে যত প্রতিবন্ধকতায় আসুক না কেন, তার ভেঙ্গে চুরমার করে সামনের দিকে আমরা বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে।