ফরিদপুরের সালথায় এক কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও এর জেরে তার বাবা ও চাচাকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে গ্রেপ্তার ও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে স্থানীয় একটি সংবাদপত্র অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর চাচাতো ভাই ও ছাত্রলীগ কর্মী প্রণব পাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার আমার চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে আমার বাবা, চাচা, ছোট ভাই পিজুস পালকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে আমরা বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পাই।পরে মামলা হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রায়মোহন গা ঢাকা দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রায় মোহন প্রভাব খাটিয়ে মামলা তুলে নিতে তার সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।এতে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু , ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এবং সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন ও তার সমর্থকদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
এছাড়াও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে রায়মোহনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা জীবন কুমার পাল, চাচা প্রাণ কুমার পাল, সনাতন কুমার পাল, চাচাতো ভাই প্রণব কুমার পাল, পিষুস কুমার পাল প্রমুখ।
এছাড়া আজ জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর বাবা, চাচা, চাচাতো ভাইয়ের ওপর হামলা চালান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন ও তার সমর্থকরা।