চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। উত্তর টিউবেরও ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ সম্পন্ন। তাই আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সমাপনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে ভার্চুয়ালি যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিং পিং টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত এ টানেল এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। শুক্রবার টানেল এলাকা পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। তিনি জানান, আগামী বছরের জানুয়ারিতেই টানেল উদ্বোধন করা হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। এর ৯৯ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। একই বছরের প্রথম সংশোধনীতে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মোট ব্যয় করা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ওই সময়ই মেয়াদ দুবছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় ও সর্বশেষ সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। নভেম্বরে এ সংশোধনী পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে এটি মূল্যায়ন কমিটিতে পাস হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি একনেকে উঠবে।