Fisherman dies in coal-laden trawler sinking

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীতে কয়লা বোঝাই ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ মাঝির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের উব্দাখালী সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, নিহত দেলোয়ার হোসেন (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ঘুমন্ত মাঝি ও শ্রমিকদের নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ বিষয়ে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের লিডার এমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার ভেতর থেকে মাঝি দেলোয়ার হোসেনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই আয়নাল হোসেন জানান, বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশন থেকে প্রায় ২০ মেট্রিকটন কয়লা বোঝাই করে পাটলাই নদীর নৌপথে গত সোমবার নেত্রকোনার কলমাকান্দার উদ্দেশে ট্রলারটি ছেড়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলমাকান্দার উব্দাখালী সেতু সংলগ্ন এলাকায় ট্রলারটি পৌঁছার পর শ্রমিক না থাকায় কয়লা ঘাটে তোলা সম্ভব হয়নি। এরপর মাঝি ও শ্রমিকসহ ট্রলারের ছয়জন হোটেলে খাবার খেয়ে রাতে ট্রলারে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ১২টার দিকে তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রলারটি ডুবে যায়।

তিনি আরও জানান, ট্রলারে থাকা তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের শ্রমিক হাফিজ উদ্দিন, গোলকপুর গ্রামের মানিক হোসেন, বালিয়াঘাট গ্রামের অমিত হাসান, আয়নাল হোসেন ও টিয়া হোসেন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দেলোয়ার হোসেন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে পরে বুধবার সকাল আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। এতে পুলিশ সদস্যরাও অংশ নেন। পরে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টার দিকে দোলোয়ার হোসেনের মরদেহটি ট্রলারের ভেতর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেলোয়ারের মরদেহ তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

image_pdfimage_print