দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি দেড় লাখের মতো কিন্তু নিবন্ধনের বাইরে লাখের বেশি ফার্মেসি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, “এসব অবৈধ ফার্মেসির কারণে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে।”
একই সঙ্গে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ না দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “মাথাব্যথাসহ যেকোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এ ক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। সামনে বিশ্বব্যাপী যা মহামারি রূপ নেবে।”
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ না দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, “ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। সামনে সংসদে পাস হবে আশা করি। একই সঙ্গে অবৈধ ফার্মেসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। উন্নত দেশে ফার্মেসি একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজ ফার্মার মতো মডেল ফার্মেসি ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এমন ফার্মেসি ছাড়া সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের এত ফার্মেসি থাকার দরকার নেই।”
এ সময় লাজ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “লাজফার্মা লিমিটেড একটি প্রতিষ্ঠিত ও সর্বাধিক বিশ্বস্ত খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, যারা মানসম্মত ওষুধ বিক্রি করে। আমাদের মূল লক্ষ্য সেবা, ব্যবসা নয়। আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফায়েড মডেল ফার্মেসি, যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে।”
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজা রহমান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারী, বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম শমসের আলী, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল ইসলামসহ বিশিষ্টজনরা।