আবু ত্ব-হার সন্ধান চান রংপুরবাসী

ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ তার তিন সঙ্গীর সন্ধানের দাবি জানিয়েছে রংপুুুরবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া না গেলে সারাদেশে গণআন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে রংপুুুর প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সচেতন রংপুরবাসী, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রংপুর, রংপুর বিভাগীয় কমার্শিয়াল আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে আদনানের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুরাগীসহ রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, তরুণ ও মেধাবী ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানসহ তার সফরসঙ্গী আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ নিখোঁজ রয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তারা আরও বলেন, পুলিশ চাইলেই সবকিছু সম্ভব হয়, কিন্তু নিখোঁজ আবু ত্ব-হা আদনানদের বেলায় তা হচ্ছে না কেন? এদেশের নাগরিক হিসেবে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে দাবি জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু পাঁচদিনেও তাদের সন্ধান না পাওয়াটা উদ্ধেগজনক।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ খান সজিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইমরান, ফয়সাল, ইয়াসির আরাফাত, আহমেদ বাবু, জামান, ফাহিম ও রায়হান কবীরসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার মুসল্লি, শিক্ষক-ছাত্ররা।

দ্রুত সময়ের মধ্যে আবু ত্ব-হা আদনানসহ অন্যদের সন্ধান পাওয়া না গেলে রংপুুুরসহ সারাদেশে গণআন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিকে একই দাবে দিনাজপুর জেলা প্রেসক্লাব চত্বরসহ রংপুুুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন সমাবেশ হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, নিখোঁজের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সব ধরনের কারণ ও সন্দেহ মাথায় রেখে তদন্ত কাজও অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনই স্পেসিফিক কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৪টার দিকে তিন সঙ্গীসহ আদনান রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি প্রাইভেটকারে ঢাকার সাভারের উদ্দেশে রওনা দেন। ওই দিন রাত থেকে তারা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের সময় আদনানের সঙ্গে তিনজন ছিলেন।

এখন পর্যন্ত তাদের কারোরই সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় আদনানের খোঁজ চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার মা আজেদা বেগম।