বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে চীনা জলসীমায় ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী’ মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে চীনা সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পিপলস লিবারেশন আর্মির সাদার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র তিয়ান জুনলি বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে।
অভিযুক্ত ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল নামের মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার। সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালি অতিক্রম করে জাহাজটি।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রুল উপেক্ষা করে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ স্থাপন করে সামরিক কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। এই সাগরের ওপর ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই ও তাইওয়ানের দাবি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টিকারী’ বলে আখ্যায়িত করে তিয়ান বলেন, ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলের এই যাত্রা ‘দক্ষিণ চীন সাগরের নেভিগেশন ও সামরিকীকরণে আধিপত্য বিস্তারের লৌহশক্ত প্রমাণ’।
এ ঘটনার পর চীনা সৈন্যরা ‘উচ্চ এলার্টে’ থাকবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটে জানিয়েছে সাদার্ন থিয়েটার কমান্ড।
দক্ষিণ চীন সাগরে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একে ‘নেভিগেশনের স্বাধীনতা’র চর্চা বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। এক্ষেত্রে একটি বাধ্যবাধকতাপূর্ণ আচরণবিধি ও অন্যান্য আস্থা তৈরিকারী পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে তারা।
গত সপ্তাহে বিতর্কিত জলসীমার কাছে পালাওয়ানে এক সফরে গিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রচারণার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।