মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি প্রগতিশীল অগ্রগতি। এই অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীল ঘটনা। আমরা অনেকদিন ধরে ট্রুথ কমিশন বা উচ্চতর কমিশন গঠন করে এই হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচনের দাবি করে আসছি।’
সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করে দেশকে পশ্চাৎমুখী করা হয়েছিল। এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের স্বার্থের বিপরীতে পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারাতেই দেশ পরিচালনা করছে। তাঁরা সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা বর্জন করে সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণ করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
সিপিবির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইতিহাসের মহানায়ক। সপরিবার তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে পাকিস্তানি ধারা পুনঃপ্রবর্তন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতারা খুনিদের কাছে আত্মসমর্পণ না করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতিরোধ করা যেত।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) বলেন, ‘১৯৭৫ এর আগে থেকেই আমাদের দেশে পুঁজিবাদী ধারা শুরু হয়েছিল। এই সুযোগে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ১৫ আগস্ট তাদের ষড়যন্ত্র কার্যকর করে।’ তিনি চার মূলনীতিসহ মুক্তিযুদ্ধের মূলভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এন রাশেদা, সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।