হাত-পা-মাথা আলাদা করা লাশটি সিলেটের ময়না মিয়ার

রাজধানীর বনানী থানার মহাখালীর আমতলী থেকে হাত-পা-মস্তকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। মরদেহের কাটা হাত-পা-মাথা উদ্ধার করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতের নাম ময়না মিয়া (৩৮)। তার বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে। সোমবার (৩১ মে) মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া।

এর আগে রবিবার রাত ৯টার দিকে মহাখালী আমতলী সড়কের পাশে একটি নীল রঙের ড্রামের ভেতরে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত হিসেবে এই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে মরদেহটি ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে পাঠানো হয়ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, রবিবার রাতে মস্তক-হাত-পা কাটা মরদেহটি উদ্ধার করার পর ওই রাতেই একটার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার ডাস্টবিনের একটি ট্রাভেলব্যাগের ভেতর থেকে ওই মরদেহের দুই কাটা হাত- দুই পা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গতকাল বিকালে গুলশান-বনানীর লেক থেকে মাথা উদ্ধার করা হয়। পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে কাটা হাত-পা-মাথা এবং কাটা শরীর একই ব্যক্তির। পুলিশের ধারণা যাত্রী বেশে কেউ ব্যাগে ভরে হাত-পা গুলো বাস কাউন্টারের সামনে ফেলে গেছে।

ওসি আরও বলেন, কাটা হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ডাটা সার্ভারে মেলানোর এক পর্যায়ে নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্রটি আমরা খুঁজে পাই। তার নাম ময়না মিয়া (৩৮)। সে সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। সে দুইটি বিয়ে করেছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। প্রথম স্ত্রী শিল্পীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো বলে আমরা জানতে পেরেছি। শিল্পীকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া তার কিশোরগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।এছাড়া, মরদেহ, হাত-পা-মাথা উদ্ধারের ঘটনাস্থলের সিসিটিভিসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্তে করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে জানান তিনি।