অসুস্থ অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তার রক্তচাপ নেমে গিয়েছে। পেটে যন্ত্রণাও হচ্ছে সেইসঙ্গে শরীরে পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেছে। কসবার ভুয়া ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলেই এই সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কি না এই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
শনিবার সকালে আনন্দবাজার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুবই দূর্বল মিমি, ভোর থেকে তার পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ভোর ৬টায় তার বাড়িতে চিকিৎসক যান। আপাতত তাকে বিশ্রাম নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ফোন দূরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক।
গত বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে মিমি বলেন, ‘‘পুরসভার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা পানিতে গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট এবং প্রসাবে সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এটা খুবই কড়া ওষুধ। পানি মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না বলে জানালেন চিকিৎসক।’’
প্রতিষেধক নেওয়ার পর কসবা শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রশংসাপত্র চেয়েছিলেন মিমি। তখন তারা জানান, অভিনেত্রীর মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশংসাপত্র যাবে। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও প্রশংসাপত্র না পাওয়ায় শিবিরের আয়োজকদের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন মিমির সহকারী। তাতেও কোনও উত্তর না পেয়ে সাংসদ যোগাযোগ করেন কসবা থানায়। তার পরেই তৎপর হয় প্রশাসন।