সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজলায় বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকে মঞ্চে না ডাকায় ওই নেতা ও তার সমর্থকরা মঞ্চ এবং চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেই ছাত্রলীগ নেতা রানা মন্ডলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মার্চ) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রানা মন্ডল তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের আইয়ুব মন্ডলের ছেলে।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকায় রানা মন্ডলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবেনা, তা পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

গত ৫ মার্চ ধামাইচহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠান শুরু হয়। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক রানা মন্ডলকে অনুষ্ঠানের মঞ্চে না ডাকায় তিনি ও তার ১০-১২ জন সমর্থক মঞ্চে ওঠেন। এ সময় তাকে মঞ্চে না ডাকায় তিনি আয়োজকদের গালাগালি করেন। পরে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন তারা। এমনকি প্রধান শিক্ষকের কাছে দুই লাখ টাকাও চাঁদাও দাবি করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ৫০ হাজার টাকার চেয়ার, মঞ্চের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় রানা মন্ডলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধামাইচ হাট এলাকার আরও ১২ জন ছাত্রলীগ সমর্থক এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে রানা মন্ডলের মোবাইল ফোন কল করা হলে তা ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।