In Lakshmipur, 2500 sacks of government rice and wheat were seized, 1 was detained

own reporter

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল ও গম জব্দ কর করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার হাজির হাট বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন, হায়দার ও রনির গোডাউনে এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কমলনগর থানা পুলিশ।
এসময় অবৈধভাবে মজুদ রাখা আড়াই হাজার বস্তা সরকারি চাল ও গম জব্দ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এসব চাল ও গম মজুদ রাখায় ৩টি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়।
জানা যায়, কমলনগর উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো বিনির্মাণে বরাদ্দকৃত সরকারি সিলযুক্ত চাল ও গম ফরিদ উদ্দিন, হায়দার ও রনি তাদের গোডাউনে জন প্রতিনিধিদের যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে মজুদ রেখেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই’র লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মানিক দে, কমলনগরের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবারক হোসেন, কমলনগর থানা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এনএসআই’র উপপরিচালক সুমন দে বলেন, ‘চাল ব্যবসায়ী ফরিদের গোডাউনের ভিতর থেকে সরকারি সিলযুক্ত ১৯’শ বস্তা চাল (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) ও গোডাউনের সামনে একটি ট্রাক থেকে ৪’শ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। সেসময় গোডাউনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। তবে গোডাউনের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।
রাতে একই এলাকায় চাল ব্যবসায়ী হায়দারে গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯১ বস্তা গম জব্দ করা হয়। এসময় গোডাউনের মালিক হায়দারের ছেলে নিজাম উদ্দিনকে আটক করে কমলনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং গোডাউনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাজির হাট বাজারের রনির গোডাউন থেকে ১১৬ বস্তা সরকারি সিলযুক্ত গম উদ্ধার করা হয় এবং গোডাউনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।’ এনএসআই কর্মকর্তা বলেন, ‘ধারনা করা হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো বিনির্মাণে ও সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী কাবিখা ও টিআর’র জন্য বরাদ্দকৃত এসব চাল কাজে না লাগিয়ে জন প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল।’
লক্ষ্মীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাহেদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় কমলনগর উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএজবি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ কমলনগরের ইউএনও মোবারক হোসেন জানান, জব্দকৃত চাল ও গমের পরিমাণ ১২৫.৩০ মেট্রিক টন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সরকারি চাল এবং গম কীভাবে, কোথা থেকে ব্যবসায়ীদের গুদামে ঢুকেছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।