Writ to pay crores of compensation to the families of those killed in Rupganj

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে শনিবার (১০ জুলাই) রিট আবেদনটি করা হয়।

No description available.

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রোববার আবেদনটির শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জরুরি কোনো আবেদন থাকলে তা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠাতে হয়। যে কারণে শনিবার রাতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের ই–মেইলে রিট আবেদনটি পাঠানো হয়েছে।

এই আইনজীবী জানান, শুনানিতে তিনি ছাড়াও আইনজীবী অনীক আর হক, সারা হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান থাকবেন।

No description available.

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের মহাপরিদর্শক,রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার,রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, হাসেম ফুডস লিমিটেড এবং হাসেম ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা এবং আহত শ্রমিকদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

 

No description available.

এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ এবং আহতদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

এছাড়া রিট আবেদনে হাসেম ফুড লিমিটেড ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেম এবং তার পারিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব চিহ্নিত করে তা জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

 

 

 

No description available.

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিহত হন।

আগুনে পুড়িয়ে হত্যার’ অভিযোগ এনে ৩০২ ধারাসহ কয়েকটি ধারায় এই মামলা করা হয়।

ওই মামলায় কারখানা মালিক মো. আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।