মস্কোতে পুরষ্কার জিতলো যুবরাজের ‘আদিম’

শুক্রবার পর্দা নামছে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৪তম আসরের। আর এই উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শীত হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘আদিম’। যুবরাজ শামীম পরিচালিত এই ছবিটি উৎসবে জিতে নিয়েছে ‘নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড’।

একাত্তরকে মস্কো থেকে খবরটি জানিয়েছেন তরুণ নির্মাতা যুবরাজ শামীম। তিনি বলেন, মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ‘আদিম’ এর মনোনয়ন পাওয়াটাই আমার কাছে বিশেষ। উৎসব কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে মস্কোতে এসে সিনেমাটি নিয়ে আমার জার্নি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর সিনেমাটির জন্য পেলাম নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সব মিলিয়ে এই উৎসব আমার মতো তরুণ নির্মাতার জন্য অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে।

এই পুরস্কার বাবাকে উৎসর্গ করছেন জানিয়ে যুবরাজ বলেন, ‘আসলে ফেস্টিভাল জার্নির পুরো বিষয়টাই আমার কাছে এখন পর্যন্ত কাল্পনিক মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি হয়তো কোন ঘোরের মধ্যে আছি। আমার এই অর্জন আমার বাবা শাহজাহান ভূঁইয়ার নামে উৎসর্গ করছি৷’

যুবরাজ জানান, ‘আদিম’ এর প্রিমিয়ার শো ছিলো ৩০ আগস্ট। ছবিটি দেখে সাধারণ দর্শক থেকে উৎসব বিচারকরাও প্রশংসা করেছেন। বারবার আপ্লুত হয়েছি। প্রিমিয়ারের পর দিনই আমার দেশে চলে আসার কথা। কিন্তু উৎসব কর্তৃপক্ষ আমাকে শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে বলেন। তখনই কিছুটা আঁচ পেয়েছিলাম! যুবরাজ বলেন, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে রেড কার্পেটেও থাকছি। সন্ধ্যায় রয়েছে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মূল পর্ব।

নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে আরও কিছু পুরস্কার ঘোষণা করে উৎসব কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে রোমানিয়ার ছবি ‘দ্য ভয়েস ক্রাইং ইন দ্য ওয়াল্ডারনেস’, সিনে ক্লাব অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে ইরানের ‘নো প্রায়র অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ এবং অডিয়েন্স অ্যাওয়ারর্ড জিতে নিয়েছে সার্বিয়ার ছবি ‘দ্য বিহেডিং অব সেন্ট জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট’।

টঙ্গীর একটি বস্তিতে হয়েছে পুরো ‘আদিম’ এর শুটিং। ছবির কাহিনীও বস্তিকে কেন্দ্র করেই। ছবির চরিত্ররাও বস্তিতেই বাস করেন। গণঅর্থায়নে নির্মাতার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রসায়ন’র ব্যানারে নির্মিত এবং সহ প্রযোজক হিসেবে সিনেমাকার ও লোটাস ফিল্ম যুক্ত আছে বলেও জানান যুবরাজ।

আদিম’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাদশা, দুলাল, সোহাগী, সাদেক প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন আমির হামযা এবং সাউন্ড ও কালার করেছেন সুজন মাহমুদ।