গত ১৩ জুন গাইয়া মহাকাশযান থেকে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের তথ্য (ডিআরথ্রি নামে পরিচিত) উন্মুক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। এতে কয়েক মিলিয়ন নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এর মধ্যে নক্ষত্রের তাপমাত্রা, আকার ও ভরের মতো বিষয়গুলো যুক্ত ছিল। পৃথিবী থেকে যেসব নক্ষত্রের দেখা মেলে, সেগুলোর উজ্জ্বলতা ও রং সঠিকভাবে ধরতে পারে গাইয়া। সেই মৌলিক পর্যবেক্ষণযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোকে কাজে লাগানোর মতো তথ্যে রূপান্তর করতে গবেষকদের ব্যাপক প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে আমাদের সূর্য কেমন রূপ ধারণ করবে, তার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়েছেন ইএসএর গবেষকেরা।
ইএসএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের সূর্যের বয়স এখন ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বছরের কাছাকাছি এবং এটি বর্তমানে আরামদায়ক মধ্যবয়স পার করছে এবং হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম জ্বালানি শেষ করছে। তবে বর্তমানে এটি অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু সব সময় এমনটা থাকবে না।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের মূল অংশে হাইড্রোজেন জ্বালানি কমে গেলে ও ফিউশনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটলে এটি একটি লাল দৈত্য নক্ষত্রে পরিণত হবে। এতে সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। এ প্রক্রিয়া নির্ভর করে নক্ষত্রের ভর ও রাসায়নিক গঠনের ওপর।
গবেষক ওরলাহ ও তাঁর সহকর্মীরা গাইয়া থেকে নক্ষত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্ভুলভাবে নক্ষত্র পরিমাপ করে বিশুদ্ধ নমুনা পেতে কাজ করেছি।’