হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে জ্বালানি তেলের দাম ৭০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে জ্বালানি তেলের মূল্য গত বছর বাড়ায়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। অব্যাহতভাবে এমন ভর্তুকি দেওয়া কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। গত তিন মাসে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরও দেশে জ্বালানির মূল্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূল্যের সমান বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, পশ্চিমবঙ্গেও ডিজেলের মূল্য ১১৪-১১৫ টাকা। বাংলাদেশে পেট্রলের দাম ১৩০ টাকা, পশ্চিম বাংলায় ১৩০-১৩১ টাকা। ডিজেলের দাম নেপালে ১২৮ দশমিক ৬৩ টাকা, ভুটানে ১৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৪ টাকা, ফ্রান্সে ২২৪ টাকা, জার্মানিতে ১৯০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬০ টাকা, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৪৪ টাকা, চীনে ১১৮ দশমিক ৬৩ টাকা, তেল রপ্তানিকারক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ডিজেলের দাম ১২২ দশমিক ৮ টাকা, যুক্তরাজ্যে ২৩০ টাকা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ দশমিক ৭৮ টাকা।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জ্বালানিসংকটের কারণে নেওয়া ব্যবস্থার তথ্য তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জ্বালানিসংকটের কারণে সাশ্রয়ী উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানি। বিভিন্ন শহরে সড়কবাতি বন্ধ করে দিয়েছে। বাথরুমে গরম পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। ভবিষ্যতে আরও ২০ শতাংশ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেবে। জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক মিনিটের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি, সেখানে লোডশেডিং হচ্ছে, বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে।