Sugar is still elusive in the market

চিনি নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাজারে এখনও কাটেনি সংকট। দোকানে দোকানে খুঁজে চিনি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোম্পানিগুলো চিনি সরবরাহ করবে বলে বারবার আশ্বাস দিলেও আসলে তারা অজ্ঞাত কারণে দিচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও তেজকুনীপাড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলেও ১১৫ টাকা কেজির কমে বিক্রি করতে চান না ব্যবসায়ীরা। বাজারে চিনির সরবরাহ দ্রুত বাড়ানোর অনুরোধ ক্রেতাদের।

চিনির বাজারে অস্থিরতা চলছে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। দুই দফায় দাম বাড়িয়ে প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৯৫ এবং খোলা চিনির দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করার পরও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। এক পর্যায়ে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় পণ্যটি।

কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী শাহ আলম সমকালকে বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চিনি দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। যখন প্রয়োজন কম, তখন অতিরিক্ত চিনি দেয়। কিন্তু এখন বারবার আশ্বাস দিয়েও দিচ্ছে না। কিন্তু তারা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করে খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছে।

এদিকে কয়েকটি কোম্পানিকে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর কিছু স্থানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে চিনি বিক্রি করেছে মেঘনা, সিটি ও দেশবন্ধু গ্রুপ।

বাজারে চিনি সংকটের ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তিন-চার দিনের মধ্যে বাজারে চিনির সরবরাহ বাড়াবে কোম্পানিগুলো, এমনটি আশা তাঁর।

এদিকে চালের বাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। পাইকারি পর্যায়ে মাঝারি আকারের চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে এবং ডিমের ডজনে আরও ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি জাতের মুরগি আগের মতো ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় কেনা যাবে। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।

সবজির বাজারও কিছুটা চড়া দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সব ধরনের সবজির দর বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা।