বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা ইতিবাচক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক, ২০২২ ‘সফটেনিং গ্রোথ অ্রান্ড এ ডার্কেন্ড গ্লোবাল আউটলুক, রিজিওনাল’ শিরোনামে প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা এখনো ইতিবাচক আছে। কিন্তু, যদি আপনারা সঠিক নীতি গ্রহণ করতে পারেন, তবে আপনারা এই অর্থনীতিকে আরো জোরালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
বাসস জানায়, অনুষ্ঠানে এডিবি’র সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এ সময় এডিবি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং ও এক্সটার্নাল এফেয়ার্সের টিম লিডার গোবিন্দ বার উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২২ হালনাগাদ অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মাঝারি নিম্ন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অভ্যন্তরীণ ধীর চাহিদা ও দুর্বল রপ্তানীর প্রতিফলন। অর্থনীতিতে দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণেই এমনটা সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
মূল্যস্ফিতী ২০২২ অর্থবছরের ৬.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬.৭ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দীর্ঘায়িত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় রপ্তানিতে মন্থরগতি এই প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণের প্রধান ঝুঁকি।
এ প্রসঙ্গে গিনটিং বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে গত বছর বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার বছর ছিল। দেশের জিডিপি ২০২১ অর্থবছরের ৬.৯ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে গত বছর ৭.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা এই মুহূর্তে ভাল। সরকার এই অনুমান অতিক্রম করতে পারলে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সন্তুষ্ট হবে।
সরকারের আর্থিক সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করা উচিৎ কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীকালে রাজস্ব ও সম্প্রসারণ নীতিকে সহায়তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের অর্থনীতির চলমান সমস্যা হচ্ছে- বহিঃস্থ ভারসাম্যহীনতা বৃদ্ধি, আর এজন্য এই মুহূর্তে সম্প্রসারণ নীতির খুব একটা প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।