বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার জন্মদিন আজ

একজন সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। যেন একদম সাদাসিধে একজন নারী। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে-নিভৃতে। সংগ্রাম করে যাচ্ছেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পর্দার অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন সাহস ও অনুপ্রেরণা, যার অনুপ্রেরণায় শেখ মুজিবুর রহমান হতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর এখন পর্দার অন্তরালে থেকে বড় বোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হলেন শেখ রেহানা, আজ তার ৬৭তম জন্মদিন।

রাজনীতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও নির্মোহ শেখ রেহানা সব সময় অন্তরালেই থেকেছেন বড় বোন শেখ হাসিনার প্রাণশক্তি হিসেবে। বাঙালির আপামর জনসাধারণের প্রিয় ‘ছোট আপা’ শেখ রেহানা ছায়া হয়ে, আলো হয়ে, পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত আগলে রাখছেন বোন শেখ হাসিনাকে।

শেখ রেহানার সাদামাটা জীবনচরিত ও অতিথিপরায়ণতা সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ঐ হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে জার্মানিতে বেড়াতে যান দুই বোন। শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানি। হত্যাকাণ্ডের রাতে দুই বোন ছিলেন বেলজিয়ামে। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি বদলে যায় দ্রুত। পরে জার্মানি থেকে ভারতে আসেন তারা। এরপর লন্ডনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন শেখ রেহানা। সরাসরি রাজনীতিতে দেখা যায়নি শেখ রেহানাকে। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত তিনি।

১৯৭৭ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে শেখ রেহানার বিয়ে হয় লন্ডনের কিলবোর্নে। শফিক আহমেদ সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি। পাশাপাশি ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের লেবার পার্টি থেকে পরপর দুবারের নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। আর ছোট মেয়ে আজমিরা সিদ্দিক রূপন্তী লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইজার হিসেবে কাজ করছেন।

 

শেখ রেহানা কখনো ঘটা করে জন্মদিন পালন করেন না। আওয়ামী লীগও দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি হাতে নেয় না। বরাবরের মতো এবারও তার জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন নেই। জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন

 

 

May be an image of 2 people, people standing and snow