পর্দা নামলো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। যে লুসাইলে সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে শুরু হয়েছিলো আলবিসেলেস্তেদের, সেখানেই তারা ঘুচালো ৩৬ বছরের শিরোপার খড়া। সেই সাথে, ফুটবল জাদুকর, ভিনগ্রহের ফুটবল যাই বলা হোক না কেনো, বিশ্বকাপ শোভা পেলো শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের হাতে। পূর্নতা পেলো মেসির ক্যারিয়ার। ম্যাচ শেষে ফাইনালের মঞ্চে দেয়া হল গোল্ডেন বুট, বল, গ্লাভস এবং সেরা উদীয়মানের পুরষ্কার। যেখানে আর্জেন্তাইনদের আধিপত্য বেশি। ৪টি পুরষ্কার বিভাগের ৩টিই আর্জেন্টাইনদের থলিতে।
ফাইনাল পর্যন্ত দলকে নিয়ে আসা ও শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখায় গোল্ডেন বল পেয়েছেন লিওনেল মেসি। এছাড়া ফাইনালে হ্যাটট্রিক’সহ পুরো টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট নিজের দখলে নেন ফ্রান্সের ‘গতিমানব’ কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর গোল্ডেন গ্লাভসের পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নাদেজ।
পুরো আসরে গোল্ডেন বুট পুরস্কারটি যায় সর্বোচ্চ গোলদাতার পকেটে। সেই রেসে শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফাইনালের মহারণেও পুরো ফুটবল বিশ্ব দেখেছে দুই ক্লাব সতীর্থের দ্বৈরথ।
তবে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে হ্যাটট্রিক আর পুরো আসরে ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট যায় এমবাপ্পের দখলে। তবে এমন অর্জনেও টানা দ্বিতীয়বার সোনালী ট্রফিটা ছোঁয়ার সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়েছে এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরুটা একদম মলীন হয়েছিল আর্জেন্টিনার। তবে খাদের কিনারা থেকে দলকে শুধু ফিরিয়েই আনেননি, অবসান ঘটিয়েছেন ৩৬ বছরের শিরোপা খরা।
মেসি জাদুতে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন সোনালী ট্রফি উচিঁয়ে পূরণ করেছে আলবিসেলেস্তারা। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ৭ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টেও করেছেন ৩টি। তাই গোল্ডেন বলের পুরস্কারটি গেছে এই আর্জেন্টাইন জাদুকরের ঝুলিতে। ২০১৪ পর দ্বিতীয়। ফুটবল ইতিহাসে ১ম খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন গোল্ডেন বল।
গোল্ডেন গ্লাভসের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন বাজপাখিখ্যাত এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফাইনালের মহারণে দুর্দান্ত কিছু সেফ নজর কেড়েছে সবার। সেই সাথে টাইব্রেকারেও নিজের মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন মার্টিনেজ।
গোল্ডেন গ্লাভসের লড়াইয়ে মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো ও ক্রোয়েশিয়ার লিভাকোভিচ’কে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি জিতে নেন আর্জেন্টাইন এই বাজপাখি।
এছাড়া আর্জেন্টিনার এনজো ফার্নান্দেজ পান সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাব।