বিগত ১১টি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও ইভিএম ব্যবহার না করা এবং ‘না’ ভোটের প্রচলনসহ ১৯ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
সোমবার (২৫ জুলাই) দলটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ সুপারিশ করেছে।
দলটির সুপারিশগুলো হচ্ছে- রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে না রাখা, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব জেলা জজদের প্রদান, ভোটের সময়ে জনপ্রশাসন, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত, নির্বাচনের তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা, বিগত ১১টি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, কাস্টিং ভোট ৫১ শতাংশের কম হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়াও দলটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়, প্রার্থীর আয় ব্যয়ের হিসাব তদন্ত ও দলগুলোর প্রার্থীর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নজরদারি, নির্বাচনি এলাকায় সব প্রার্থীর নাম, প্রতীক, দল, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ইত্যাদি সম্বলিত যৌথ পোস্টার, ব্যানারের মত প্রচার সামগ্রী নির্দিষ্ট পরিমাণে ইসির পক্ষ থেকে ছাপানো ও সমহারে প্রার্থীদের বণ্টন, প্রত্যেক প্রার্থীর বক্তব্য রাখার সমান সুযোগ রেখে রিটার্নিং অফিসারের ব্যবস্থাপনায় কমপক্ষে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনী জনসভা আয়োজন, অ্যাবসেন্টি ব্যালট, মেইলিং পোলিং, অ্যাডভান্স পোলিং, অনলাইন পোলিং সিস্টেম চালু এবং ইভিএম ব্যবহার না করা।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও সুপারিশ জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে ভোটারের নম্বর, ভোট কেন্দ্রের নাম, বুথ নাম্বার ইত্যাদি তথ্য ভোটারদের সহজীকরণে এন্ড্রয়েড ও ওয়েব বেসড এপ্লিকেশন তৈরি, ভোটার তালিকা সফট ও হার্ড কপি বিনামূল্যে প্রার্থীদের সরবরাহ; প্রতিটি ভোট কেন্দ্র, ভোট গণনা কক্ষ ও ফলাফল ঘোষণা কক্ষ সিসি টিভির আওতায় নিয়ে আসা; স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক পদ্ধতি বাতিল করা ও ‘না’ ভোট প্রচলন, একাধিক প্রতীকে প্রদানকৃত ভোট বাতিল না করে ‘না’ ভোট হিসাবে গণ্য এবং জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ দলের নিবন্ধিত প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানানো হয়েছে।