নজিরবিহীন অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কায় চ্যালেঞ্জের মুখে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি।
শ্রীলঙ্কার চরম অর্থনৈতিক সংকট, পাকিস্তানের প্রলয়কারী বন্যা, রুশ ও ইউক্রেন যুদ্ধ প্রভাবের মতো ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
পাশাপাশি রয়েছে কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না পারার সমস্যাও। এসব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ম্রিয়মাণ বলছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ‘কপিং ইউথ শংকস ম্যাইগ্রেশন অ্যান্ড দ রোডস টু রেজিলিয়েন্স’ -শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ সংস্থা বলছে, চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, গেল বছর যা ছিলো ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী চড়া মূল্যস্ফীতি আর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের সবগুলো দেশই অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি বলছে বিশ্বব্যাংক।
কেউ কেউ মন্দা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
সংস্থাটি বলছে, এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়াবে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। এক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষদের খাবারের জন্য তাদের আয়ের বড় অংশই খরচ করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসনীতি সহজীকরণ, ভিসা খরচ কমানো, শ্রমিকদের প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে এসব দেশকে।
চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার হালনাগাদ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করেছে বিশ্বব্যাংক। এ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেন, করোনার পর রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়বে প্রবৃদ্ধিতে। সংকট কাটিয়ে উঠতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য রাজস্ব আদায়ে জোর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয়।
খাদ্যপন্য ছাড়া স্যার এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে সেবা খাতে উন্নয়ন আশা জাগাচ্ছে বলেও মনে করেন হ্যান্স টিমার।