জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান পান্নাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা পান্না বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানের আদেশ দেন আদালত।
মিজানুর রহমান পান্না বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মনসা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। আদালতের বেঞ্চ সহকারি আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৭১৭ টাকার তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার এ মামলা করেন।
২০২৩ সালের ১০ অগাস্ট বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা একমাত্র আসামি চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পান্নাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বেঞ্চ সহকারি আরও বলেন, আজ সরকারি কর্মকর্তা পান্না আসামি হিসেবে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠিয়েছেন।