মিছিলে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা অংশ নিলেও বিএনপির নেতা–কর্মীরা ছিলেন না।
বিএনপির এ কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা ১১টার দিকে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী ওরফে আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ওরফে ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ওরফে কায়েদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলাল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর কাদের ওরফে সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ওয়াদুদ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘তেল-গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে আমাদের দুজন নেতা প্রাণ হারিয়েছেন। এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। সেই তেলের দাম রাতারাতি বাড়িয়েছে। এখন তেলের সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। প্রতিবাদ করলেই সরকার পুলিশে দিয়ে তাঁদের ওপর নিপীড়ন করছে। এমনকি গুলি করে পর্যন্ত মানুষ হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না। আমরা কোথায় আছি। নিজেদের অধিকার আদায়েও মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে।’
৩১ জুলাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘সেদিন ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে কোনো নেতা–কর্মীর হাতে লাঠি পর্যন্ত ছিল না। অথচ পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা মিথ্যাচার করছেন। শুধু শুধু আমাদের দোষারোপ করছেন। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় আসছে, ততবার বিএনপির নেতা–কর্মীদের হত্যা করেছে।’