ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রামাতোর্স্ক শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রুশ মিসাইল হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। আলোচনার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা কিয়েভে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে দশটায় একটি রাশিয়ান ইস্কান্দার-কে মিসাইল ক্রামাতোর্স্কের ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত হানে। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক ফেসবুক পোস্টে পুলিশ জানায়, হামলায় অন্তত আটটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বাখমুত থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ক্রামতোর্স্ক।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশে আরও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বৈঠকের আগে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। কিয়েভ বিলিয়ন ডলার সহায়তার নির্ভরযোগ্য গ্রাহক হতে পারে সেটি প্রমাণ করতে দৃঢ়সংকল্প তারা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভে পৌঁছে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লিয়েন বলেন, ‘ইইউ বরাবরের মতোই দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে তা দেখাতে এবং আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা আরও গভীর করতে আমরা এখানে একসাথে এসেছি’।
তবে যুদ্ধরত একটি দেশকে স্বীকার করতে নারাজ হওয়ায় ইইউ আরও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।
ব্রাসেলসের দলটি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র ও অর্থ পাঠানো, ইইউতে ইউক্রেনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, কিয়েভকে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহায়তা করা, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা এবং যুদ্ধের জন্য রাশিয়ান নেতাদের বিচার করার বিষয়ে আলোচনা করবে।
ইইউ বলছে যে তারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৬০ বিলিয়ন ইউরোর সাহায্য বরাদ্দ করেছে। তবে কিয়েভের সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।