আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন। এসব সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিনা প্রশ্নে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখলে বাজার যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি অর্থ পাচারও কমবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এই প্রস্তাব করেন।
বর্তমানে ২৬.৫ শতাংশ কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। আগামী ৩০ জুন এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই সুবিধা কমপক্ষে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।
একই সঙ্গে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর করহার আরো সাড়ে ৭ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর করপোরেট করহার ২২.৫০ শতাংশ। কিন্তু এই কর হারেও অনেক ভালো কম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসৎসাহী হচ্ছে না। অথচ বাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন ভালো কম্পানির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই বাজারে ভালো কম্পানিকে আগ্রহী করে তুলতে এই করহার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। ’
এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির সদস্য (কাস্টমস নীতি) মোঃ মাসুদ সাদিক। তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন বা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার ফলে নিয়মিত করদাতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন, নাগরিক সমাজও এর বিরোধিতা করে। কিন্তু যারা সুবিধা চায় তারা পাশে দাঁড়ায় না। ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘অপ্রদর্শিত আয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা দরকার। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও সরকারের রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি অর্থপাচার কমবে। ’ তিনি আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ চান।