Case against 7 people including MP's father-in-law

দশমিনায় এস.এ. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট পদে নিয়োগের জন্য স্থানীয় এমপির শ্বশুরসহ ৭ জনকে বিবাদি করে ৭ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগে দশমিনা সহকারি জজ আদালত পটুয়াখালীতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুন) বায়েজীদ হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার এস.এ. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট (জেনারেল ইলেকট্রনিক্স) পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ঐ মাসের ১২ তারিখ উপজেলার কাটাখালী গ্রামের গাজী অলিউল ইসলামের ছেলে বায়েজীদ হোসেন নিয়োগের জন্য আবেদন করেন।

এতে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশগ্রহণে উত্তীর্ণ ও নিয়োগের জন্য ১ ও ২নং বিবাদি বায়েজীদের কাছে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ঐ টাকা দিতে বায়েজীদ রাজি না হওয়ায় স্কুলের সভাপতি স্থানীয় এমপির শ্বশুর ফোরকান সিকদার ও প্রধান শিক্ষক মো. কাওছার নিয়োগ প্রক্রিয়া কালক্ষেপণ করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখ পুনরায় আবার আরেক পত্রিকায় কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট (জেনারেল ইলেকট্রনিক্স) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

No description available.

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বছর তিন মাস পরে গত বছরের মার্চ মাসের ১২ তারিখের ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুন মাসের ১ তারিখ কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট (জেনারেল ইলেকট্রনিক্স) পদে নিয়োগের জন্য লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় বায়েজীদকে চিঠি ইস্যু করেন। বায়েজীদ হোসেনের ওই চিঠিতে কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট (জেনারেল ইলেকট্রনিক্স) পদ থাকায় ঐ স্কুলের সভাপতি স্থানীয় এমপির শ্বশুর ফোরকান সিকদার ও প্রধান শিক্ষক মো. কাওছারের বিরুদ্ধে ৭ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগসহ আরো ৫ জনকে বিবাদি করে দশমিনা সহকারী জজ আদালত পটুয়াখালীতে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।